এ্যংলিশ
ফুডানি
রচনায়ঃ-রাহান
তাপস
ছোট বেলায় বার্ষিক পরীক্ষা শেষ একবার নানা বাড়ি বেড়াতে গেলাম।গ্রামের
বন্ধুদের নিয়ে গ্রাম ঘুরছি।পথে একটা বড়ই গাছ দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম।সব পাকা-পাকা বড়ই।খুব
লোভ লাগল।কিন্তু এলাকাটা গরিব
মানুষদের।গাছটা ও হয় তো কোন দরিদ্র মানুষের।জায়গাটা অশিক্ষিত জেলে পাড়া।তাই ঢিল
ছুড়তে ইচ্ছে হল না।কিন্তু সাথের বন্ধুরা
বুঝলো আমার খুব বড়ই খেতে ইচ্ছে করছে।তাই এক বন্ধু একটা ঢিল ছুড়লেন।
সাথে-সাথে সশব্দে কতগুলো বড়ই পড়লো।আমরা যেই না কুরাতে যাবো ওমনি ঘর থেকে
এক জিন্নছিন্ন বৃদ্ধ লোক এসে গালা-গালি
শুরু করলো।
এক বন্ধু বললো,মেহমান এসেছে চট্টগ্রাম থেকে দুটো বড়ই না হয় পাড়লাম!
বৃদ্ধ বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাই চেঁচামেচি শুরু করে দিল।
তখন আমি ও আমার আঞ্চলিক ভাষায়
বললাম,আই চিটাগাং তুন আইচি দা।আই তোয়ারার গরবা।তোয়ারা গরবার লগে এ্যাইল্যা করেননা!(আমি
চট্টগ্রাম থেকে এসেছি।আমি তোমাদের মেহমান।তোমরা মেহমানের সাথে এমন ব্যাবহার
করো!)
এমন কথা শুনে বৃদ্ধ তো তেলে-বেগুনে রেগে আগুন।আবার ও বরিশালের আঞ্চলিক
ভাষায় বলল,ও মোনু তুমি মোর লগে এ্যংলিশ কও।মুই কি কুছু ব্যুঝি না।মোর চ্যাঁচ্যাঁ
চহিদার।“চুরি
হরবা আবার এ্যংলিশ ফুডানি ও ম্যারবা ”।(এই বাচ্চা ছেলে তুমি আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলো।আমি
কি কিছু বুঝি না।আমার চাচা ও শিক্ষিত।চুরি করে খাও আরার ইংরেজিও ফুটানি দেখাও)
এই কথা শুনে সব বন্ধুরা একসাথে হাসিতে ফেটে পড়লো।বৃদ্ধ কিছুই বুঝলো না
ঘটনাটা।
আমি চিটাগাংরে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললাম।আর বৃদ্ধ বুঝল আমি ইংরেজিতে কথা
বলছি!আসলে যে কখনো এই চিটাগাংরে আঞ্চলিক ভাষা শোনেনি সে কিছুই বুজবে না এ ভাষা।তার মনে হতেই পারে
এটা বিদেশি বা ইংরেজি ভাষা!
পরে আমরা দশ টাকা দিলাম সেই বৃদ্ধকে।সে ও খুশি হলো এবং সব কটা বড়ই কুড়িয়ে
নিয়ে যেতে বলো।আর বললো ,ঢিল যেন না ছুড়ি।
# # # # # # #
#
সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহান তাপস(Rahan Tapos)
www.facebook.com/Tapos.Rahan
www.facebook.com/Tapos.Rahan
Mobile+8801913935232
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন